চকরিয়া নিউজ ডেস্ক ঃ
চকরিয়া উপজেলার একটি বেসরকারী চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান জমজম হাসপাতালে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ দখলে রাখার জন্য দুইপক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মুহুর্তে শেয়ার হোল্ডারদের মধ্যে সংঘর্ষের আশংকায় রয়েছে হাসপাতালে আগত রোগীরা।
সম্প্রতি সাধারণ সভার আহ্বানে দুটি পক্ষ ১৪ আগষ্ট পাল্টাপাল্টি কর্মসুচি দিয়েছিল। এ নিয়ে সাধারণ শেয়ার হোল্ডারদের মাঝে সংঘাতের আশঙ্কা দেখা দেয়। এতে হাসপাতালের পরিচালনা কমিটির সাবেক সদস্য জি.এম আশেক উল্লাহ্ বাদী হয়ে আদালতে একখানা অভিযোগ দায়ের করেন। আদালত চকরিয়া থানাকে দু’পক্ষের মধ্যে আইন শৃংখলা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। থানা পুলিশ গতকাল ১৪ আগষ্ট দু’পক্ষকে কোন ধরনের সভা সমাবেশ না করার জন্য লিখিত নোটিশ দেন। কিন্তু থানা পুলিশের নোটিশ উপেক্ষা করে গোলাম কবিরের পক্ষ গতকাল বিশেষ সাধারণ সভা শুরু করার সাথে সাথে সংবাদ পেয়ে চকরিয়া থানার ওসি বখতিয়ারের নির্দেশে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে সাধারণ সভা পন্ড করে দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চকরিয়ার বেসরকারী হাসপাতাল জমজমের মালিক পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে। হাসপাতালের দায়ীত্ব নিয়ে বিভিন্ন অনিয়মে হাসপাতাল পরিচালনা করায় বিগত ২০১৩সালে বাতিল হয় হাসপাতালের লাইসেন্স। ফলে হাসপাতালের মান হয় নিম্নমুখি। এমতাবস্থায় কার্যকরি কমিটির মুল স্রোত থেকে বাদ পড়েন এমডি গোলাম কবির। ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গোলাম কবির কতিপয় অনভিজ্ঞ শেয়ার হোল্ডার নিয়ে বিদ্রোহ করে বসে। এবং বিকল্প পথে একবছর ধরে ক্ষমতা দখল করার চেষ্টা করছিল। তারই ধারা বাহিকতায় আজ চকরিয়া জমজম হাসপাতালের ম্যানেজিং কমিটির বিদ্রোহী গ্রুপের নেতা গোলাম কবির হাসপাতালে মিটিং ডাকে। সাড়ে দশটায় মিটিং শুরোর আধাঘন্টা না হতেই। অপ্রিতিকর ঘটনার আশংকার খবর পায় পুলিশ। এদিকে সাধারণ শেয়ার হোল্ডারেরা পুলিশের এ হস্তক্ষেপে সাধুবাদ জানান। পুলিশি হস্তক্ষেপ না হলে দু’পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা ছিল। এতে জমজম হাসাপাতাল পরিচালনা পরিষদেরসহ হাসপাতালের দূর্ণাম চর্তুমূখে ছড়িয়ে পড়ত। এহেন অবস্থা দেখে মুক্তি পাওয়া সাধারণ শেয়ার হোল্ডারেরা পুলিশ প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও প্রকাশ করেন। এ দিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সভা আনুষ্টিত হওয়ার কথা বলা হলেও তা আদৌ সত্য নয় বলে জানিয়েছেন অনেক শেয়ার হোল্ডাররা।
পাঠকের মতামত: